সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
আমি মো: মহসিন উদ্দিন, হাফেজ আবুল কালাম ও মোসা: মহসিনা বেগম এর প্রথম সন্তান। মাদারীপুর জেলার শিবচর থানায় আমার নিবাস। বর্তমানে আছি নারায়ণগঞ্জে। লেখাপড়ার বর্তমান অবস্থা সরকারি কে. এম কলেজ, ভাঙ্গা, ফরিদপুরে মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের ২য় বর্ষের ছাত্র।

জন্ম:
মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার সাড়ে সতের রশি গ্রামে নানা বাড়িতে আমার জন্ম। জন্ম তারিখটা ছিল ২৬শে সেপ্টেম্বর।

শৈশব:
আমার আব্বু ফেরদৌস ওয়াহিদের গ্রামের বাড়িতে চাকরি করত। সেই চাকুরীর সুবাদে আমার শৈশব কাটে সেখানে। মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার মাইজপাড়া গ্রামে। বিক্রমপুরের আকাশ-বাতাস আমার শৈশবের সাথে মিশে আছে।

শিক্ষা:
যেহেতু আমার শৈশব কেটেছে মুন্সীগঞ্জে, সুতরাং আমার প্রাথমিক শিক্ষা সেখাইনেই শুরু হয়েছিল। ৭৯ নং দক্ষিণ মাইজপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ আমি ভর্তি হই। সালটা ছিল ২০০২ ।

এর পাঁচ বছর পর, প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে আমি ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয় স্যার জগদীসচন্দ্র বসু ইনস্টিটিউট এন্ড কলেজ-এ। তবে অনিবার্য  কারণে ঐ বছর-ই আমরা মুন্সীগঞ্জ ছেড়ে আমার নানা বাড়ির পাশের গ্রামে নতুন করে বাড়ি করি। তাই ওই স্কুলে আমার আর পড়া হয় না। আমি বছরের মাঝামাঝি সময় মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মাদবরেরচর আর.এম উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হই। সেখান থেকে ২০১৩ সালে এস.এস.সি পরীক্ষা দেই।

এস.এস.সি পরীক্ষার পরে আমি সরকারী বরহামগঞ্জ কলেজ, শিবচর, মাদারীপুর-এ ভর্তি হই। এবং এখান থেকেই এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই ২০১৫ সালে। 

এরপর আমি সরকারী কে.এম কলেজ, ভাঙ্গা, ফরিদপুর-এ বিবিএ মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি হই এবং বর্তমানে ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত আছি। 

অন্যান্য শিক্ষা:
এস.এস.সি পরীক্ষার পরে আমি কম্পিউটার অফিস প্রোগ্রামের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলাম। তারপর এইচ.এস.সি পরীক্ষার পরে কম্পিউটারে উচ্চ শিক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ আসি। আসলে ফ্রিল্যানসিং, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি কোর্সগুলো আমাদের উপজেলা শিবচরে নেই। এমনটি জেলা শহর মাদারীপুরেও নেই। তাই আমার নারায়ণগঞ্জ আসা। তাই এইচ.এস.সি পরীক্ষা দেওয়ার পরেই আমি ২০১৫ সালে নারায়ণগঞ্জ এসে একটি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হই। 

বর্তমান ঠিকানা:
নারায়ণগঞ্জের ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার পর ওখানেই থাকতাম। ওই ট্রেনিং সেন্টারে সাহেদ নামে একটি লোক আসত। তার সাথে ওখান থেকেই পরিচয়। সে আবার ইউ.সি.সি কোচিং, নারায়ণগঞ্জ শাখায় চাকরি করত। একদিন সে আমাকে ইউ.সি.সি নারায়ণগঞ্জ শাখায় নিয়ে গেল এবং কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি দিল। এক সময় আমি ওই ট্রেনিং সেন্টার থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসি। কিন্তু বাড়িতে আসি না। ইউ.সি.সি নারায়ণগঞ্জ শাখায়-ই রয়ে যাই। বর্তমানে সেখানেই আছি। 

জীবনের লক্ষ্য:
জীবনে কী করতে চাই কিংবা কি করলে আমার জন্য ভাল হবে তা আগে কখন নির্ধারণ করিনী। কিন্তু শুনেছি যে কাজটি করতে ভাল লাগে, সেটি যদি পেশা হিসেবে গ্রহণ করা যায় তবে সফলতার মুখ দেখতে বেশি দেরী লাগে না। 

বিজ্ঞানের প্রতি আমার বিশেষ ঝোঁক থাকা স্বত্ত্বেও বেশি কিছু করতে পারিনী আমি। কারণ আমার জন্ম এক উন্নয়নশীল দেশে, যেখানে অনেক কিছুই সীমাবদ্ধ। তাই বেশি দূর আশা করতে পারিনী।

আমার ব্লগ লিখতে ভাল লাগে। বিভিন্ন বিষয়ের উপর চমৎকার ভাবে প্রবন্ধ লিখতে ভাল লাগে। এক সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। আমি বড় একজন ব্লগার হব। 

যেই চিন্তা সেই কাজ। দুটি ব্লগ ও রেজিষ্টেশন করে ফেললাম মুহূর্তের মধ্যেই। একটি বাংলাদেশের জন্য। অন্যটি বিশ্বব্যাপি
এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর আমার আসক্তি রয়েছে।

স্বপ্ন:
তেমন কোন স্বপ্ন নেই। একটা শিশু আশ্রম ও সেই সাথে একটি বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করার প্লান মাথায় সব সময় ঘুরপাক খায়।


নিজের সম্পর্কে কিছু কথা:
অন্যান্য আট-দশটা সাধারণ মানুষের মতই আমি। ছোটবেলা কেটেছে কড়া শাসনের মধ্যে। মাঝে মাঝে শোষনের ও শিকার হয়েছি।

এরপর আমার জীবনে রয়েছে বেশ কিছু কথা, যেগুলো এখানে বলতে পারতেছি না .............................

আমার বিজ্ঞানের প্রতি বিশেষ একটা ঝোঁক রয়েছে। কিন্তু নবম শ্রেণীতে যখন ভর্তি হলাম তখন পারিবারিক পিছুটানের কারণে আমি আর বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে পারিনী। তখনই শেষ হয়ে যায় আমার আশা।

নিজের প্রসংশা করতেছি না, অল্প তারাতারি আমি যেকোন বিষয় আয়ত্ব আনতে পারি। আমার বন্ধুরা যখন পরীক্ষার পূর্বে বিভিন্ন কোচিং, প্রাইভেট, ব্যাচ এ ছোটাছুটি করে, তখন আমি ঘরের কোণে বসে পড়তাম একা একা কারো সাহায্য ছাড়াই। পরে দেখা যেত যে, ওদের চেয়ে আমার রেজাল্ট-ই ভাল হয়েছে!

শেরে বাংলা এ.কে ফজলূর হক আর আমার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য একটাই, ওনি বই পড়ে বইয়ের পাতা ছিড়ে ফেলত আর আমি ছিঁড়তাম না।


খারাব অভ্যাস:
অতিরিক্ত কাজের চাপে এবং চিন্তা করার কারণে মাথা অনেক সময় গরম হয়ে যায়। তখন অল্পতেই রেগে যাই। পরে অবশ্য নিজে নিজে ভাবি যে রাগ করাটা ঠিক হয়নি!!!

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কারে সাথে এমন অল্পতে রেগে গেলে দয়া করে কিছু মনে করবেন না।


যোগাযোগ:
আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন এখানে ভিজিট করে। 

মৃত্যু:
অবশ্যই একদিন আমার মৃত্যু হবে। কিন্তু সেদিনটা অনিশ্চিত। তাই এখন কিছুই বলতে পারতেছি না যে, কবে মরব। তবে একদিন অবশ্যই চলে যাব ঐ কবরে।